Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৭ মার্চ ২০২৩

এক নজরে

বাংলাদেশ সরকারের ভিশন ২০২১ পরিকল্পনাতে ছিল "ডিজিটাল অর্থনীতি এবং সুষম বৃদ্ধির সাথে উত্তরোত্তর উন্নয়ন”। আইসিটি অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্যই হচ্ছে, দেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখা যা এর ভিশন এবং মিশনে উল্লেখ রয়েছে। আইসিটি অধিদপ্তর ICT এর প্রয়োগ ও ব্যবহার নিশ্চিত করবে এবং সরকার ও নাগরিককে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করবে। এই প্রকল্প দেশের শেষ মাইল (Last Mile Connectivity) পর্যন্ত আইসিটি সুবিধা এবং সংযোগ প্রসারিত ও বজায় রাখবে এবং তৃণমূল পর্যায়ে জাতীয় আইসিটি সম্পর্কিত নীতি ও কৌশল বাস্তবায়ন করবে।

 

বাংলাদেশ সরকার আইসিটিকে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে যা উপযুক্ত নীতির সাথে, বাস্তবসম্মত কৌশল দ্বারা পরিপূরক। আইসিটি জনগণের জন্য তথ্যের আরও ভাল অ্যাক্সেস, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, এবং দক্ষ শাসন এবং অর্থনৈতিক সুযোগের বৈচিত্র্যের মাধ্যমে উন্নত পাবলিক পরিষেবার ক্ষেত্রে অসাধারণ কল্যাণ বয়ে এনেছে। ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০১১-২০১৫), সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০১৬-২০২০) এবং অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা (২০২০-২০২৫)-এর মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট কৌশল এবং বাস্তবায়নের কাজগুলিকে তুলে ধরা হয়েছে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাতে আইসিটি ব্যবহারের মাধ্যমে দারিদ্র্য নিরসন ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য ডিজিটাল অর্থনীতি বাস্তবায়নের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

 

পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনার ভিশনের ভিত্তিতে, বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে সংযোগ সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে।

 

অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায়, বাংলাদেশ সরকার এই "ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন (EDC)" প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দিয়েছে যা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি ক্লিনিক, সর্বনিম্ন স্তরের সরকারি অফিসে সংযোগ স্থাপন এবং ICT এর দ্রুত, দক্ষ এবং নিরাপদ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য মাঠপর্যায় পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনার কর্মদক্ষতা বাড়ানোর লক্ষ্যে শেষ মাইল (Last mile Connectivity) সংযোগ স্থাপনের ব্যবস্থা করেছে। প্রকল্পের লক্ষ্য হল সংযোগ, অ্যাক্সেস ডিভাইস এবং ই-লার্নিং এর মাধ্যমে শিক্ষা, ই-গভর্নেন্স এবং ডিজিটাল বিভাজন দূরীকরণে সহায়তা প্রদান করা।

 

ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের কৌশলে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রস্তাবিত বর্তমান পরিস্থিতি এবং ২০২৫ সালের মধ্যে ফিক্সড লাইন ব্রডব্যান্ড পেনিট্রেশন রেট ১০০%  লক্ষ্যের মধ্যে একটি বিশাল ব্যবধান রয়েছে। যেহেতু প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখন ব্যবসার সুযোগের অপ্রতুলতা রয়েছে এবং আইআইজি, এনআইএক্স এবং এনডব্লিউআইএসপির মতো প্রধান কার্যকরী সংস্থাগুলো ঢাকাতে কেন্দ্রীভূত থাকায় উপশহর এলাকা ও গ্রাম এলাকায় ফিক্সড ব্রডব্যান্ড লাইন নির্মানের অগ্রগতি খুবই সামান্য।

 

সারাদেশে ১০,০০০ স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগ এবং সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হবে। এন্ড ইউজার কানেক্টিভিটি স্কোপের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া হবে এবং ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার-এর দূরশিক্ষণ প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি শিক্ষাদান এবং গবেষণার জ্ঞান উন্নত করার জন্য, কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের দিগন্ত উন্মুক্ত করতে এবং আরও স্থানীয় আইসিটি প্রতিভা গড়ে তোলার জন্য ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন প্রকল্পের মাধ্যমে সমস্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষেশায়িত ল্যাব স্থাপন করা হবে।

 

পূর্বাচলে DoICT টাওয়ারে DLC (Digital Literacy Center) স্থাপনের মাধ্যমে সেখান থেকে জাতীয় NOC -এর নকশায় CRVS ( Civil Registration and Vital Statistics)-এর কেন্দ্রীয় প্ল্যাটফর্ম পরিকাঠামো পরিচালন করা হবে। উক্ত DLC -তে কমান্ড সেন্টারে IOT ল্যাবরেটরী নির্মাণ, গ্রামে কৃষির জন্য IOT সিস্টেম নির্মাণ, পশুপালনের জন্য IOT নির্মাণ এবং ম সের জন্য IOT নির্মাণের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পরিষেবা এবং ক্লাউড ডেটা সেন্টার নির্মাণের বিষয়গুলো অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।

 

আইসিটি অধিদপ্তরের ভিশন ও মিশন অর্জনের  লক্ষ্যে, ডিজিটাল কানেক্টিভিটি স্থাপনের জন্য চীন সরকার চীন-এর এক্সিম ব্যাংকের মাধ্যমে একটি Soft Loan হিসেবে প্রকল্পটির অর্থায়ন করতে সম্মত হয়।গত ১৪ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে বাংলাদেশ ও চীন সরকারের মধ্যে G2G সমঝোতা স্মারকের অধীনে ২৭টি প্রকল্পের মধ্যে এটি একটি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত হয়। প্রকল্পটি গত ১০ জুন,২০১৮ তারিখে মন্ত্রিসভার অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি (CCEA)-তে সরাসরি সংগ্রহ পদ্ধতি (DPM) দ্বারা প্রকল্প  ঋণের অংশ বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদিত হয়।

 

উপরোক্ত পটভূমিতে প্রস্তাবিত প্রকল্পের ডিপিপি প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রস্তাবিত প্রকল্পের বাস্তবায়নের ফলে আইসিটি অধিদপ্তরের ভিশন ও মিশন এবং বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ-এর ভিশন অর্জনে সহায়ক হবে। উল্লেখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করে অত্র প্রকল্পে সাতটি গুরুত্বপূর্ণ স্কোপের সন্নিবেশ ঘটিয়ে প্রকল্পটির অনুমোদন করা হয়েছে